আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমনটা ধরে নিয়েই ভোটের প্রস্তুতিতে আরেক ধাপ এগিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর এবার নতুন দলের নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
আপাতত নির্বাচন কমিশনের প্রথম লক্ষ্য একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা হালনাগাদ। এখনকার তালিকায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার আছে। তাদের বাদ দিতে হবে। এরপর জুনে হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে...
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাপ্তাহিকসহ সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আজ সোমবার এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেন ইসির সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান।
ভোটার তালিকা হালনাগাদে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অনেক এলাকা জনপ্রতিনিধিশূন্য হয়ে পড়ায় নতুন ভোটারের তথ্য যাচাই নিয়ে চিন্তায় ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করবে। এই কার্যক্রম চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ২ মার্চ প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত তালিকা। আইন অনুযায়ী, যোগ্য নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে
চলতি বছর আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে আগামী বছর ২ মার্চের পর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ভোটার তালিকার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি।